অস্তিত্ব সংকটে তিতাস নদী
আবুল কালাম আজাদ, মুরাদনগর (কুমিল্লা) : অস্তিত্ব সংকটে তিতাস নদী আবাদি জমিতে পরিণত হয়েছে। তিতাসের কূলজোড়া জল, বুকভরা ঢেউ আর প্রাণভরা উচ্ছ্বাসÑ এসব কথা কেবলই এখন সেই উপন্যাসে পাওয়া যায়। বাস্তব চিত্র এখন ভিন্ন। এই তিতাস এখন শুধুই ইতিহাস, শুধুই স্মৃতি। কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার পশ্চিম পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া তিতাস নদীর পানি শুকিয়ে নদীটি রূপ নিয়েছে আবাদি জমিতে। সেচের অভাবে হুমকিতে পড়েছে উপজেলার কয়েক হাজার হেক্টর জমির ইরি-বোরো আবাদ। অপরদিকে মাছ ধরতে না পারায় বেকার হয়ে পড়েছে ৩টি উপজেলার কয়েক হাজার জেলে পরিবার।
সরেজমিন দেখা যায়, তিতাস নদীর মুরাদনগর-হোমনা সংযোগ সেতুর নিচের উত্তরাংশ থেকে শুরু করে দক্ষিণাংশের তিতাস উপজেলার দাসকান্দি বাজারের গোমতীর মুখ পর্যন্ত প্রায় ১২ কিমি. শুকিয়ে গেছে। তার মধ্যে নদীকে দ্বিখণ্ডিত করে বিভিন্ন অংশে দখল হয়ে গেছে প্রায় ৫ কিমি.। নদীতে পানি না থাকার ফলে যেমন বেকার হয়ে পড়েছে জেলেরা, তেমনি সেচের পানির অভাবে বিপাকে স্থানীয় কৃষকরা। নদীর উপরিভাগে ধানের বীজতলা ও নদীর তলায় ধান রোপণ করার দৃশ্য চোখে পড়ে। মনে হয় নদীর কোনো অস্তিত্ব নেই। এরফলে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী।
মুরাদনগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অ.দা.) মোসাম্মৎ নাজমা আক্তার বলেন, ‘নদী, খাল-বিলে এখন তেমন পানি নেই। মাছও ধরা পড়ছে না। জেলেরা এখন অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন’। কেউ কেউ পুকুরে মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। এতে করে উন্মুক্ত জলাশয়ের মাছ আহরণ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ....বিস্তারিত
রানা প্লাজা ধসের ১১ বছরেও খোঁজ মেলেনি গাইবান্ধার ১২ জনের
গাইবান্ধা সংবাদদাতা : ঢাকার সাভারের রানা প্লাজা ভবন ধসের ঘটনায় গাইবান্ধার নিখোঁজ ১২ জনের কোনো সন্ধান ১১ বছর পরও পাওয়া যায়নি। এ নিখোঁজদের রোজগারে চলতো অনেকের পরিবার। তাই রানা প্লাজা ধসে তাদের হারিয়ে এসব পরিবারের সদস্যরা এখন অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। নিখোঁজদের স্বজনরা রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় ভবন মালিক সোহেল রানাসহ অভিযুক্ত সকলের দ্রুত বিচার দাবি করে জানান, ঘটনার পর সরকারের অনেক প্রতিশ্রুতি তারা শুনেছেন। কিন্তু কোনোটিই বাস্তবায়িত হয়নি। এমনকি সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী হতাহত পরিবারদের কোনো সদস্যকে চাকরিও দেওয়া হয়নি। তাদের শুধু নামমাত্র আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। ফলে তাদের পরিবারের সদস্যরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ ভবন ধসে গাইবান্ধার ৪৯ জন নিহত ও ১২ জন নিখোঁজ হন। আহত হন আরও অনেকে। সে সময় বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়।
সূত্রটি আরও জানায়, ভবন ধসের ওই ঘটনায় জেলার নিখোঁজ ব্যক্তিদের মধ্যে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় তিনজন, পলাশবাড়ী উপজেলায় তিনজন, সাদুল্লাপুর উপজেলায় পাঁচজন ও সাঘাটা উপজেলায় একজন। এখনো তাদের কোনো খোঁজ মেলেনি। নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেনÑ গাইবান্ধা সদর উপজেলার কুপতলা ইউনিয়নের চাপাদহ বুড়ির খামার গ্রামের রমজান আলীর মেয়ে হালিমা খাতুন (রেশমা), ধাকুরাকুটি গ্রামের ইউনুস আলীর মেয়ে রিনা বেগম, বোয়ালি ইউনিয়নের মধ্য ফলিয়া গ্রামের মৃত কফিল উদ্দিনের মেয়ে মুক্তা বেগম, পলাশবাড়ী ....বিস্তারিত
মোংলা-ঘোষিয়াখালী চ্যানেলে নাব্য সংকট
মো. রেজাউল ইসলাম, রামপাল (বাগেরহাট) : মোংলা-ঘোষিয়াখালী চ্যানেলসংলগ্ন তিনটি সরকারি খাস খাল দখল করে মাছ চাষ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাব্য হারানো খালগুলো প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বিশেষ বরাদ্দে পানি উন্নয়ন বোর্ড খনন করলেও প্রভাবশালীরা মাছ চাষ করে আসছেন। এতে মোংলা-ঘোষিয়াখালী চ্যানেলের নাব্য সংকটের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। এ ঘটনায় রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার সাতপুকুরিয়া-আড়ুয়াডাঙ্গা গ্রামের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত তিনটি সরকারি খাস খাল প্রভাবশালীরা দীর্ঘদিন ধরে দখল করে মাছ চাষ করে আসছেন। খালগুলো হলো সাতপুকুরিয়ার পাঁজাখোলার খাল, আড়ুয়াডাঙ্গার ইয়াছিন খাল ও আদুর খাল। খালগুলো মোংলা-ঘোষিয়াখালী চ্যানেলসংলগ্ন হওয়ায় এবং চ্যানেলের নাব্যতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হওয়ায় বাগেরহাটের পানি উন্নয়ন বোর্ড খনন করে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে সাতপুকুরিয়া গ্রামের তৈয়ব মাঝির ছেলে আনিস মাঝি, আরশাদ আলীর ছেলে নজরুল মাঝি, রাজেন মণ্ডলের ছেলে সুজন মণ্ডল, হাকিম শেখের ছেলে সাইফুল শেখ, হাসেম আলী ফকিরের ছেলে আফতাব ফকির, মোস্তফা মোসাল্লির ছেলে রফিকুল মোসাল্লি, রহিম পিয়াদার ছেলে আলাউদ্দিন পেয়াদাসহ ২০-২৫ জন সরকারি খাল দখল করে মাছ চাষ করে আসছেন। অভিযোগকারী মো. গিয়াসউদ্দিন ও রীনা বেগম দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দে খালগুলো খনন করা হয়। সেই খাল দখল করে মাছ চাষ করা হচ্ছে। খালগুলো উন্মুক্ত করা হলে মোংলা-ঘোষিয়াখালী ....বিস্তারিত
মানবসেবার কাজ ইবাদত : খায়রুল হাসান
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও গাজীপুর মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি মো. খায়রুল হাসান বলেছেন আল্লাহ পাক মুসলমানদের সংস্কারবাদী দল হিসেবে মানবতার কল্যাণে কাজ করার জন্য সৃষ্টি করেছেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেবলমাত্র রাজনৈতিক বা ধর্মীয় দল নয় বরং মানবতাবাদী দল হিসেবে যেকোনো সংকটে দুর্ভোগে-দুর্যোগে জামায়াত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। জামায়াত মানববসেবার কাজকে নিজেদের দায়িত্ব-কর্তব্য এবং ইবাদত হিসেবে মনে করে থাকে। জামায়াতের এ কল্যাণধর্মী কার্যক্রম মানবতার কল্যাণে অব্যাহত থাকবে, ইনশাআল্লাহ। গত ২৯ এপ্রিল সোমবার সকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী টংগী পশ্চিম থানার উদ্যোগে থানা আমীর মো. আবু সালেহ’র সভাপতিত্বে আয়োজিত কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ করার সময় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। এ সময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মহানগর জামায়াতের শূরা সদস্য মো. কামারুজ্জামান খান মামুন, থানা সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, থানা কর্মপরিষদ সদস্য মো. জাকারিয়া খান, মাওলানা দুররুল হুদা, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হাই শিকদার, কাজী তৈয়বুর রহমান, সানোয়ার হোসেন, এস এম সাইফুল আলম প্রমুখ। তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রের দায়িত্ব জনগণের সব ধরনের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা। রাষ্ট্র সেই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। জামায়াত একটি দল হিসেবে সামর্থ্যরে সর্বোচ্চ উজার করে দিয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
....বিস্তারিত
কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন
আমানুর রহমান খোকন, কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামে ১৬টি নদনদীর চরাঞ্চলে পেঁয়াজের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। পরিকল্পিত চাষাবাদে পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। জানা গেছে, এবারে কুড়িগ্রামের জেলার তিস্তা, ধরলা, ব্রহ্মপুত্রসহ ১৬টি নদনদীর চরাঞ্চলে পেঁয়াজের ব্যাপক চাষ করা হয়। চরাঞ্চলে পেঁয়াজ চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। বিঘা প্রতি প্রায় ৪০ মণ ফলন পাওয়ায় পেঁয়াজ চাষে কৃষকের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিস্তা নদীর চরের পেঁয়াজ চাষি মো. শাহ আলম বলেন, আমি চরাঞ্চলের ৬০ শতাংশ জমিতে পেঁয়াজে আবাদ করেছি। ফলন পেয়েছি প্রায় ৮০ মণ। ৪০ টাকা কেজিদরে আমার পেঁয়াজ বিক্রয় করেছি। একই এলাকার কৃষক হাবিবুর রহমান, রয়েল মিয়াসহ একাধিক কৃষক তিস্তা চরে প্রায় ৩০ একর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করে ভালো ফলন পায়। কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ সূত্রে জানা যায়, এবছর জেলায় পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে, যা অর্জিত হয় ২ হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে। মোট উৎপাদন হয়েছে ২২ হাজার ৩৭৬ মে. টন। কুড়িগ্রামের কৃষি কর্মকর্তা মোছা. নাহিদা আফরীন বলেন, আমরা এবারে কৃষকদের শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের প্রণোদনা দিয়েছি। কৃষকরা প্রণোদনা হিসেবে পেঁয়াজের বীজ, সারসহ অন্যান্য সহযোগিতা পেয়েছেন। পেঁয়াজের ফলন ভালো হওয়ায় আগামীতে পেঁয়াজের আবাদ আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।
....বিস্তারিত
লবণাক্ত উপকূলের কৃষিজমিতে তরমুজের বাম্পার ফলন
এস এ মুকুল, খুলনা : লবণাক্ততার কারণে খুলনার চার উপকূলীয় উপজেলা কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপ ও বটিয়াঘাটার কৃষি অর্থনীতি থমকে দাঁড়ায়। কয়েক বছর পূর্বে অধিকাংশ কৃষিজমিতে আমন ধান ছাড়া কোনো ফসল উৎপাদন সম্ভব হতো না। গ্রীষ্ম মৌসুমে পানির অভাবে বিল শুকিয়ে লবণ উঠে যেত। খাল কিংবা টিউবওয়েলের পানি দিয়ে বোরো কিংবা অন্যান্য ফসলের আবাদ করলেও উৎপাদন খরচ তুলতে হিমশিম খেত কৃষকরা। একপর্যায়ে তরমুজ চাষ করলে সফলতা মেলে। চাষিরা লাভবান হওয়ায় পর্যায়ক্রমে তরমুজ চাষ ব্যাপক সম্প্রসারণ হয়। চলতি মৌসুমে চার উপজেলার চাষিরা দুই হাজার কোটি টাকার তরমুজ উৎপাদন করতে সক্ষম হবেন বলে আশা করছেন। এতে তাদের প্রায় পাঁচশ’ কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে।
চার উপজেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে, খুলনার উপকূলীয় চার উপকূলীয় উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১২ হাজার ১৭৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। তন্মধ্যে কয়রায় ২ হাজার ৯৩০ হেক্টর, দাকোপে ৫ হাজার ৭০০ হেক্টর, বটিয়াঘাটায় উপজেলায় ২ হাজার ১০০ হেক্টর ও পাইকগাছায় এক হাজার ৪৪৫ হেক্টর জমি রয়েছে। বটিয়াঘাটা উপজেলায় গতবারের তুলনায় আবাদ কমলেও অন্য তিন উপজেলায় পর্যাপ্ত বেড়েছে। চার উপজেলায় পাঁচ লাখ থেকে সাড়ে পাঁচ লাখ মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদন হবে এবং পাইকারি বিক্রি করে কৃষকরা ৬২০ কোটি থেকে ৬৫০ কোটি টাকা অর্জন করতে পারবেন বলে আশা করছে কৃষি দপ্তর। যার খুচরা মূল্য প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা। আর চাষিদের উৎপাদন ....বিস্তারিত
পাবনায় জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুস শাকুরের ইন্তেকাল
পাবনা সংবাদদাতা : পাবনা জেলা জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুস শাকুর বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গত ২৮ এপ্রিল রোববার দুপুরে মাদরাসা থেকে ফিরে নিজ পুকুরে নামলে বিদ্যুতায়িত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মাওলানা আব্দুস শাকুর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ওলামা মাশায়েখ বিভাগের জেলা দায়িত্বশীল ছিলেন। কর্মজীবনে তিনি দারুল আমান ট্রাস্ট কর্তৃক পরিচালিত পাবনায় ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আরবি বিভাগের সহকারী অধ্যাপকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। দুপুরে আব্দুস শাকুরের মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। তাকে একনজর দেখার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী তার নিজ বাড়ি মহেন্দ্রপুরে সমবেত হতে থাকেন। তিনি পাবনা সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়নের মহেন্দ্রপুর গ্রামের ইসলাম পাটোয়ারীর ছোট ছেলে। তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে পাবনাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোকবার্তা দিয়েছে।
পাবনা ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল ইকবাল হোসাইন আব্দুস শাকুরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মাদরাসা থেকে বাড়ি ফিরে দুপুর দেড়টার দিকে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তার। তার এ মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোক প্রকাশ করছি। ....বিস্তারিত
চলনবিলে সেচ ট্রান্সফরমার চুরির হিড়িক
নাটোর সংবাদদাতা : শস্যভাণ্ডারখ্যাত চলনবিলে গত ৩৫ দিনে ২৮টি সেচ ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে। এদিকে কৃষকদের নিজ নিজ সেচ মোটর পাহারার ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। পুলিশি টহল জোরদার ও গ্রামবাসীর উদ্যোগে পাহারা বসিয়েও চুরি রোধ সম্ভব না হওয়ায় বোরো ধান কাঁচা থাকতেই অনেক কৃষক তাদের বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ও সেচ মোটর খুলে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। আবার অনেক কৃষক নতুন করে ট্রান্সফরমার কিনতে না পেরে তাদের জমিতে সেচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। সিংড়া থানার ওসি আবুল কালাম বলেন, এখন পর্যন্ত পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ সিংড়া জোনাল অফিসের পক্ষ থেকে তিনটি মামলা দেওয়া হয়েছে। সেই মামলা আমলে নিয়ে পূর্বে ট্রান্সফরমার চুরির সঙ্গে জড়িত এমন ৬-৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চুরি রোধে চলনবিল এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। এ বিষয়ে সিংড়ার ইউএনও হা-মীম তাবাসসুম প্রভা বলেন, বিষয়টি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে আলোচনা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি কৃষকদের তাদের নিজ নিজ সেচ মোটর ঘরে পাহারার ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
....বিস্তারিত
শিবগঞ্জে স্বপ্নচূড়া ওয়েলফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে অসহায়দের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জে স্বপ্নচূড়া ওয়েলফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে এবং এসএনএডি ফাউন্ডেশন ও ডুয়ামের সহযোগিতায় অসহায় দুস্থ ও গরিবদের মাঝে বিনামূল্যে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে।
গত ২৭ এপ্রিল শনিবার বিকেলে শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট ফাজিল মাদরাসায় সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠান ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও পৃষ্ঠপোষক মো. আব্দুল বাসিরের উপস্থাপনায় প্রধান অতিথি ছিলেন শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ড. অধ্যাপক কেরামত আলী এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক আব্দুল মান্নানসহ অন্যরা।
অনুষ্ঠানে শিবগঞ্জ উপজেলার শাহাবাজপুর, কানসাট ও শ্যামপুর ইউনিয়নের অসহায় দুস্থ ও গরিবদের মাঝে সেলাই মেশিন তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।
অরাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী এ সংগঠনটি দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
....বিস্তারিত
মাওলানা শিহাব উদ্দিনের ইন্তেকালে জামায়াত নেতৃবৃন্দের শোক
বরিশাল সংবাদদাতা : বাংলাদেশ জানায়াতে ইসলামী মুলাদী উপজেলার সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল মালেকের শ্বশুর চরপদ্না রাশিদিয়া ফাজিল মাদরাসার সাবেক সহযোগী অধ্যাপক হাজারো আলেমের ওস্তাদ বিশিষ্ট আলেমেদীন আলহাজ হযরত মাওলানা মো. শিহাব উদ্দীন ঢালী গত ২৭ এপ্রিল শনিবার রাতে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বরিশাল মহানগর আমীর ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর, বরিশাল জেলার আমীর অধ্যাপক মাওলানা মো. আব্দুল জব্বার, জেলা নায়েবে আমীর মাস্টার আবদুল মান্নান ও অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা মাহমুদুন্নবী, মুলাদী উপজেলা আমীর মাওলানা আবু ছালেহ, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল মোতালেব, উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য মু. আব্দুল্লাহ আহাদ প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ মরহুমের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের জন্য সবরে জামিল কামনা করেছেন।
....বিস্তারিত
বাঁচতে চায় ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত ইমরান
মো. আবু জাফর সিদ্দিকী, নাটোর : ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত ১৮ বছর বয়সী যুবক মো. ইমরান হোসেনের এখন একটাই আকুতিÑ ‘সুন্দর এ পৃথিবীতে আমি বেঁচে থাকতে চাই’। দেশের বাইরে তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন প্রায় ১০ লাখ টাকা। তার দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয়। কোথায় পাবে টাকা? তাহলে কি তার চিকিৎসা হবে না? টাকার অভাবেই কি তাকে এ সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে? এমন নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ইমরানের পরিবার। ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত ইমরান হোসেন নাটোরের সিংড়া উপজেলার কলম ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর বেড়িবাঁধ এলাকার দরিদ্র দিনমজুর মো. জুলহাস মোল্লার একমাত্র ছেলে।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৮ বছর আগে ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত হয় ইমরান। সে তখন চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। হঠাৎ করেই মাথা ঘুরে পড়ে যায় ইমরান। শরীরে কাঁপুনি শুরু হয়। মাথায় পানি ঢাললে সুস্থ হয়ে ওঠে। মাসে দু-একবার এ রকম লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ায় সবাই ধারণা করেন মৃগীরোগে আক্রান্ত। তাই প্রাথমিকভাবে স্থানীয় ডাক্তার কবিরাজের চিকিৎসা করান বাবা-মা। এভাবে কেটে যায় ৪-৫ বছর। বছর তিনেক আগে মাথাব্যথা আর যন্ত্রণা তীব্র হলে রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয় তাকে। সেখানে জানা যায়, ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত ইমরান। মহাবিপদে পড়েন বাবা-মা। ধারদেনা ....বিস্তারিত
এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
- রানা প্লাজা ধসের ১১ বছরেও খোঁজ মেলেনি গাইবান্ধার ১২ জনের
- মোংলা-ঘোষিয়াখালী চ্যানেলে নাব্য সংকট
- পাবনায় জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুস শাকুরের ইন্তেকাল
- অস্তিত্ব সংকটে তিতাস নদী
- শিবগঞ্জে স্বপ্নচূড়া ওয়েলফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে অসহায়দের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ
- বাঁচতে চায় ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত ইমরান
- লবণাক্ত উপকূলের কৃষিজমিতে তরমুজের বাম্পার ফলন
- চলনবিলে সেচ ট্রান্সফরমার চুরির হিড়িক
- মানবসেবার কাজ ইবাদত : খায়রুল হাসান
- কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন